ছাত্রলীগে ঠিকাদার, কাশিয়ানিতে মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে পুলিশ ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটিতে একজন ঠিকাদারকে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ ও তাকে বহিষ্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, গত ৫ নভেম্বর কাশিয়ানি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ১০ সদস্যের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক করা হয় আজাদ হোসেন মৃধাকে। এরপর থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকতে পারবেন না। গঠনতন্ত্রের এ নির্দেশনা না মেনে আহবায়ক কমিটি দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অব্যাহতভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সুমন মুন্সি জানান, কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন মৃধা এলজিডির প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। তাকে ঠিকাদার হিসেবেই সবাই জানেন। তাকে কমিটির আহবায়ক করায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আগামি ১৭ ডিসেম্বর সম্মেলনের দিন। তিনি সভাপতি প্রার্থী। তাকে বহিষ্কারের দাবিতে আমরা দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করি। মিছিলের এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রায় ২৫ মিনিট অবরোধ স্থায়ী ছিল। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের বাধা পেয়ে পরে বাজারে এসে তারা পূণরায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সুমন মুন্সি আরো বলেন, আজাদ মৃধা একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। তিনি কেন ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকবেন। তার বহিষ্কারের জন্য আমরা মিছিল সমাবেশ করছি। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছাত্রলীগে প্রবেশে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিষেধ থাকলেও তা মানা হয়নি।
এদিকে কাশিয়ানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আলীনূর হোসেন পিপিএম বলেন, ছাত্রলী
গের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করতে গেলে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। পরে তারা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় সে ব্যাপারে আমাদের নজরদারি রয়েছে।