স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সরকারি সড়কের উপর বাড়ি ও টয়লেট নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বানা ইউনিয়নের গড়ানিয়া এলাকায়। গড়ানিয়া-উথলিগামি সড়কের আবিয়ার দোকানের মোড় থেকে পশ্চিম পাড়া মাঠগামী একটি সরকারি সড়ক রয়েছে। দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটি ২৪ ফুট প্রস্তের হলেও সড়কের জায়গায় ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করায় সড়কের প্রসস্ততা কমে গেছে।
ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়ত করেন। বিশেষত ক্ষেত থেকে উৎপাদিত কৃষি পণ্য রিক্সা ভ্যান বা গরুর গাড়িতে করে উপজেলা সদরে আনার জন্য গড়ানিয়া, উথলী, আড়পাড়া, যোগিবরাটসহ এলাকার অন্তত পাঁচ গ্রামের কৃষক এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে কবিয়ার শেখ বারান্দাসহ রান্না ঘর, তাঁর ভাই আবিয়ার শেখ এবং একই এলাকার কুদ্দুস শেখ টয়লেট নির্মান করেছেন। এর ফলে ওই সড়কের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে সড়কের আনুমানিক একশ ফুট জায়গায় সড়কের প্রস্থ আট থেকে ১০ ফুটে নেমে এসেছে।
কবিয়ার শেখের স্ত্রী রিক্তা বেগম বলেন, গত ১০/১২ বছর ধরে আমরা এভাবেই ঘর তুলে বসবাস করে আসছি। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী কখনও কোন আপত্তি দেয়নি।
কুদ্দুস শেখ এর ভাই মোহাম্মদ শেখ জানান, এটি সরকারি সড়ক। আমাদের টয়লেট সড়কের জায়গায় পড়েছে। এ সড়কের উত্তর দিকে আমাদের মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়ি ও টয়লেট রক্ষার জন্য উত্তর দিকের জায়গা থেকে সড়কের জন্য জায়গা ছেড়ে দেব।
গত জুন মাসের শুরুতে ওই এলাকার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী মো. মোশাররফ হোসেন এ বিষয়টি আলফাডাঙ্গার সহকারি কমিশনার (ভুমি) নিকট অনলাইনে অভিযোগ করেন।
মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আলফাডাঙ্গার তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভুমি) পারভেজ চৌধুরী গত ৪ জুন ওই এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে তিন দিনের মধ্যে সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপর প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সড়কের ওই স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হয়নি। এরপর প্রশাসনের পক্ষে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়ন্তী রূপা রায় এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগটি খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।