চলনা প্রেয়সী
এম.এম. লিয়াকত হোসেন (লিটন)
চলনা তোমার এলোচুলে খোঁপা করে
গুজে দেই আম্রমুকুল,
ঘন বরষায় আলিঙ্গনে জড়িয়ে নেই
মধুমতি পাড়ের কাঁশফুল।
আলত করে টেনে আনি ভাসমান
কচুরীপানার দল,
হৃদয়ের স্রোতধারায় ছেড়ে দেই নাঁও
বেশ হবে মাঝির ছল।
চলনা শুনে আসি টেউ কড়চার
কল কল শব্দ,
হাতে হাত রাখি দুজনে হারাই
শীতল রুপে হই মুগ্ধ।
চলনা স্নিগ্ধ সকালে দেখি আসি
ঢেউভাঙ্গা জলের বাঁক,
শুনে আসি গধুঁলী লগনে গাঙশালিকের
কিচির মিচির ডাক।
চলনা দুজনে ভালবাসার রঙ মেখে
ডিঙ্গি নাঁওয়ে দুলি,
আঁকা বাঁকা পথে গড়ি সপ্নের বাড়ি,
ধোঁয়াসাকে যাই ভূলি।
চলনা অরন্যের ধারে খেলি
চড়ুইভাতি খেলা,
সোনা রোদে শশ্যফুলে যেথায় বসে
রঙ্গীন মৌমাছির মেলা।
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে যাব
মদন কুমারের দেশে,
চলনা তোমায় নিয়ে যাই বাঁবলা বনের ধারে,
গ্রাম্য রাখালের বেশে।
চলনা জলের রাজ্যে মিলেমিশে হই
সপ্নের রানী- রাজা,
বিলের জল আর শাপলা শালুক করি,
রুপক রাজা- রানীর প্রজা।
আদি- অন্ত থাকি সেথায় মোরা
যেথায় পুষ্প বৃষ্টির উচ্ছাস,
সপ্নের দলে,হাসি,খুশির মূলে,
হোক তোমার- আমার বসবাস।